সংগঠনের গঠনতন্ত্র

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

১ম ভাগ: সংগঠনের পরিচিতি

**'আঙ্গারপাড়া একতা বন্ধন'** ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ, দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয়।

অনুচ্ছেদ-১: সংগঠনের নামকরণ এবং স্লোগান

এই সংগঠন **'আঙ্গারপাড়া একতা বন্ধন'** ইংরেজিতে **SINGULARITY BOND**। সংগঠনের স্লোগান হবে: **'আমরাই তরুণ আমরাই উদ্যোমী'**।

অনুচ্ছেদ-২: সংগঠনের ধরন এবং বৈশিষ্ট্য

আমরা ভালোবাসা, আশা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার সমবেত একটি পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি, যেখানে মানুষ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে বাস করবে। সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীকে, বিশেষভাবে চরম দরিদ্র, গৃহহীন ও অনাথ শিশুদেরকে শিক্ষা, পুষ্টি ও আশ্রয় সরবরাহের মাধ্যমে তাদের জাতির জন্য সম্পদে পরিণত করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ইহা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অলাভজনক, সামাজিক উন্নয়নমূলক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছায় মানব সেবার সংগঠন। এই সংগঠন স্কুল-কলেজের ছাত্র, এলাকার তরুণ যুবক এবং ৩ ধরনের সদস্য নিয়ে গঠিত হবে এবং সর্বশ্রেণীর উন্নয়নের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

  • **১.** 'আঙ্গারপাড়া একতা বন্ধন' সম্পূর্ণ স্বাধীন, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী, সাংস্কৃতিক ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব সম্পন্ন সংগঠন। এই সংগঠন অন্য কোন সংগঠনের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে কাজ করবে না বরং ভবিষ্যতে বিভিন্ন গ্রামে আমাদের শাখা সংগঠন করা হবে এবং এর নেতৃত্বে পরিচালনা করা হবে।
  • **২.** 'আঙ্গারপাড়া একতা বন্ধন' সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন। অত্র সংগঠনের কোন সদস্য রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে এটা তার ব্যক্তিগত কাজ। এখানে সংগঠন কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
  • **৩.** 'আঙ্গারপাড়া একতা বন্ধন' সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন। অত্র সংগঠনের কোন সদস্য রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে এটা তার ব্যক্তিগত কাজ। এখানে সংগঠন কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। কিন্তু এই সংগঠনের কোনো সদস্য যদি সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত করেন বা করার চেষ্টা করেন তবে তাকে কার্যনির্বাহী পরিষদ বহিষ্কারের ক্ষমতা রাখে।

অনুচ্ছেদ-৩: সংগঠনের কার্যালয়

**'আঙ্গারপাড়া একতা বন্ধন'** এর একটি কার্যালয় বর্তমানে অস্থায়ী করা হবে, ভবিষ্যতে সংগঠনের আর্থিক সঙ্গতি বৃদ্ধি সাপেক্ষে আঙ্গারপাড়া গ্রামে যেকোনো সুবিধাজনক স্থানে নিজস্ব অথবা ভাড়া করা স্থানে সংগঠনের কার্যালয় করা হবে।

অনুচ্ছেদ-৪: কার্য এলাকা

এই প্রতিষ্ঠানের কার্য এলাকা প্রাথমিকভাবে আঙ্গারপাড়া গ্রাম ইউনিয়নে সীমাবদ্ধ থাকবে। পরবর্তীতে আলাদা আলাদাভাবে কার্যনির্বাহী পরিষদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে কার্য এলাকা সম্প্রসারণ করা যেতে পারে।

অনুচ্ছেদ-৫: সংগঠনের লোগো / মনোগ্রাম এর বিবরণ

**'আঙ্গারপাড়া একতা বন্ধন'** এর নিজস্ব মনোগ্রাম ও ওয়েবসাইট, ইমেইল, ফেসবুক রয়েছে।

অনুচ্ছেদ-৬: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

  • **১.** প্রধানত সামাজিক ও শিক্ষা কর্মকান্ড পরিচালনা করবে।
  • **২.** এলাকাবাসীর মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের প্রত্যয়ে সৃষ্টি করা।
  • **৩.** এলাকার গরিব অসহায় মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সহায়তা বা উদ্বৃত্ত করা এবং বিনামূল্যে বই বিতরণ করা।
  • **৪.** ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও সৃজনশীলতার সর্বাধিক বিকাশের লক্ষ্য তাদেরকে প্রণোদিত ও সংঘটিত করা ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে উপবৃত্তি প্রদান করা।
  • **৫.** রমজান মাসে অসহায় গরীবদের মাঝে ইফতারি বিতরণ করা ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা।
  • **৬.** ঈদ উৎসব ঈদের আগের দিন অসহায় গরিবের মাঝে ঈদ প্যাকেজ বিতরণ করা।
  • **৭.** সমাজের সবার মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা বোধ সৃষ্টি করে সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
  • **৮.** আঙ্গারপাড়া একতা বন্ধন সামাজিক সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে কাজের মাধ্যমে সকল স্বয়ংক্রিয় ও স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠার লক্ষ ক্ষমতায়িত করা।
  • **৯.** **শিশু কল্যাণ:** এলাকার গরিব শিশু কিশোরদের অক্ষর দান দেওয়ার জন্য গণশিক্ষা কেন্দ্র, পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা এবং দরিদ্র শিশুদের খেলাধুলার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত কল্পে ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং শিশুদের বাল্যবিবাহ রোধে শোভা সেমিনার ও গণসচেতনতা সৃষ্টি করা।
  • **১০.** এলাকার সকল প্রকার খেলাধুলার আয়োজন, অংশগ্রহণ ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা। সংশ্লিষ্ট খেলায় জেলা বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করার ব্যবস্থা করা।
  • **১১.** মাদক মুক্ত এলাকা গড়তে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা।
  • **১২.** এলাকার মাদকাসক্ত, জুয়াড়ি, বখাটে ও অপরাধীদের সুস্থ জীবন ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিনোদন, গণসচেতনতা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং কর্মসংস্থানের জন্য উৎসাহ প্রদান করা।
  • **১৩.** সমাজবিরোধী কার্যকলাপ হইতে জনগণকে বিরত রাখিবার উদ্দেশ্যে চিত্র বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির ব্যবস্থা করা।
  • **১৪.** যেকোনো সেবামূলক কাজে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং জনগণকে সেবামূলক কাজে সহযোগিতা করা। এমনকি খাদ্যদ্রব্য কে বিষমুক্ত রাখা ও কৃষকদের কেমিক্যাল ব্যতীত ফসল উৎপাদনের ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া।
  • **১৫.** সরকারের উন্নয়নমূলক সংস্থাসমূহের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করা, গণশিক্ষা গ্রহণের বয়স্কদের উদ্বৃপ্ত করা। উন্নত প্রযুক্তির কৃষি, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি, পালন হস্ত ও কুটির শিল্প স্থাপন ও নার্সারী সহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্বন্ধে গ্রামবাসীদের মধ্যে জ্ঞান দানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে আমন্ত্রণ করা এবং সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা। পরিবার পরিকল্পনার মাঠ কর্মীদের সাথে সমন্বয় সাধন করে পরিকল্পিত গঠনে জনগণের উদ্বুদ্ধ করা।
  • **১৬.** দেশের দুর্ভিক্ষ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, মহামারী, অনা বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি সকল প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে দোস্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে এগিয়ে যাওয়া, শীতবস্ত্র বিতরণ এবং তহবিল বৃদ্ধি ও সংরক্ষণার্থে দান।
  • **১৭.** ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা।